শনিবার ১২ এপ্রিল ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ হুইটেকারের সভাপতিত্বে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা শেষ হওয়ার পর পক্ষগুলো আলোচনার বিষয়ে একটি "ইতিবাচক এবং গঠনমূলক" মূল্যায়ন করেছে এবং পরের সপ্তাহেও তা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্স টুডে জানিয়েছে,বৈরুত-ভিত্তিক আল-আখবার সংবাদপত্র ইরান-মার্কিন আলোচনার প্রথম দফার উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে লিখেছে: আমেরিকা জানে যে অপরিকল্পিত চাপ এই অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে,বিশেষ করে যেহেতু ইরানের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এই কারণে আমেরিকান কৌশলে পরিবর্তন আসে এবং ওয়াশিংটন পরোক্ষ আলোচনায় সম্মত হয়।
আল-আখবার লিখেছেন, ইরান নিপীড়নমূলক অবৈধ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে চাইছে এবং বিশ্বাস করে যে আলোচনা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নত করার একটি সুযোগ কিন্তু একই সাথে এটি তার বিপ্লবী ভিত্তি থেকে পিছু হটবে না।
এই প্রতিবেদন অনুসারে ইরানের পররাষ্ট্রনীতির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য এবং শক্তিশালী ভিত্তি দেশটিকে আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসেবে দাড় করিয়েছে। ইরানের ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত অবস্থান যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার পররাষ্ট্র নীতির উপর উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলে। একইসঙ্গে তেল,গ্যাস এবং অন্যান্য খনিজ সম্পদের মতো অসংখ্য এবং সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক সম্পদের কারণ ইরান এ অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত দেশ হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। এই বিষয়গুলো ছাড়াও ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের আকৃতি নির্ধারণে অ-বস্তুগত কারণগুলো প্রভাবশালী। আলোচনায় ইরানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন বিষয়ে দর কষাকষি এবং বিভিন্ন ফাইল একে অপরের থেকে পৃথক করতে পারদর্শী করে তুলেছে।
আলোচনার টেবিলে ইরানের উপস্থিতির অর্থ এই নয় যে তারা তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বা তার আঞ্চলিক বন্ধুদের ওপর থেকে সমর্থন ও সহযোগিতা তুলে নিয়েছে। লেবানন, ফিলিস্তিন এবং ফিলিস্তিনি স্বার্থ, ইরাক, লেবানন এবং অঞ্চলের প্রতিরোধ আন্দোলনকে সমর্থন করা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কৌশলের একটি অপরিহার্য অংশ।#
342/
Your Comment